টাকা খরচ করে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে বোরো চাষ করে এখন শিলাবৃষ্টিতে কাঁচা ফসল নষ্ট হওয়ায় সামনে অন্ধকার দেখছেন কৃষকরা।
উপজেলার হবিবপুর ইউনিয়নের ২, ৪, ৬, ৮ ও ৯ নং শাল্লা ইউনিয়নের ৫, ৬, ৪ ও ৭ নং বাহাড়া ইউনিয়নের সবকটি ওয়ার্ডেই শিলাবৃষ্টির আঘাতের ফসলের ক্ষত চিহ্ন ছোখে পড়ার মতো। তবে আটগাও ইউনিয়নের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন:লালমনিরহাটে শিলাবৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি
উপজেলার ছায়ার হাওর, ভান্ডাবিল, ভেড়াডহর, উদগলবিল হাওরে দেখা যায় রাতের শিলাবৃষ্টির কারণে বোরো ফসলের প্রায় ৫০ শতাংশ নষ্ট হয়েছে।
এ বিষয়ে প্রতাপপুর গ্রামের কৃষক ও বাহাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি পিযুষ কান্তি দাস বলেন, ফাল্গুন মাসে এ ধরনের ভয়াবহ শিলাবৃষ্টি আমি দেখিনি। সোমাবার রাতে শিলাবৃষ্টির ভয়ানক তাণ্ডবে ফসলের মুখ দেখার আগেই এলাকার কৃষকের চেহারা মলিন হয়ে গেছে। কাঁচা ফসলের যে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে তা কাটিয়ে ওঠার ক্ষমতা হারিয়েছে সাধারণ কৃষক।
আরও পড়ুন:ফরিদপুরে শিলাবৃষ্টিতে পাটসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি
শাল্লা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. জামান চৌধুরী বলেন, ‘সোমবার রাতের শিলাবৃষ্টিতে ফসলের যে ক্ষতি হয়েছে তা অপূরণীয়। তবে গর্ভ ফসলে শিলাবৃষ্টির অঘাত হওয়ায় চূড়ান্ত ক্ষতির পরিমাণ এখন বুঝা যাচ্ছে না। তাছাড়া শিলাবৃষ্টির পাশাপাশি প্রচণ্ড ঝড়ো হাওয়ায় তার ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামে দুটি বসত ঘর ভেঙে পড়েছে।’
বাহাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিধান চন্দ্র চোধুরী জানান, তার ইউনিয়নে ৬৫-৭০ শতাংশ ফসলের ক্ষতি হয়েছে। তাছাড়া ১০ জন লোক আহত হয়েছেন ও একটি বসত ঘর ভেঙে গেছে।
আরও পড়ুন:নাটোরে শিলাবৃষ্টিতে ২৯০০ হেক্টর জমির ধান নষ্ট, কৃষকের মাথায় হাত
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, উপজেলার প্রায় ১৫শ হেক্টর জমির ওপর গত রাতের শিলাবৃষ্টি আঘাত হেনেছে। এর মধ্যে প্রায় ২০ শতাংশ ফসলের ক্ষতি হয়েছে।
তবে কৃষি অফিসের প্রাপ্ত তথ্য নাকচ করেছে এলাকার কৃষকরা।